ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

ইউক্রেনে মস্কোর লক্ষ্য একই রয়েছে: ক্রেমলিন

ভয়েস প্রতিদিন ডেস্ক
আপলোড সময় : ১০-১১-২০২৪ ০৮:২০:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-১১-২০২৪ ০৮:২০:৪২ পূর্বাহ্ন
ইউক্রেনে মস্কোর লক্ষ্য একই রয়েছে: ক্রেমলিন ছবি:সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ট্রাম্পের নির্বাচন পরবর্তী ভাষণেও সে আভাস মিলেছে। তবে ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে মস্কোর লক্ষ্য বা অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।  

শুক্রবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। খবর এনএইচকে'র।পেসকভ বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কখনও বলেননি ইউক্রেন অভিযানের লক্ষ্য পরিবর্তিত হচ্ছে। পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্যগুলো একই রয়ে গেছে। 

পুতিনের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছেন।এর আগে পুতিন বলেছিলেন, মার্কিন জনগণের আস্থাভাজন যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে তিনি কাজ করবেন।

এদিকে গেলো জুন মাসে পুতিন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা প্রত্যাহার করে নেয়াসহ তার শান্তি আলোচনার শর্তাবলি তুলে ধরেছেন।পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের দখল করে নেয়া চারটি অঞ্চল এবং ক্রিমিয়ার উপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে হবে। 

তিনি আরও যোগ করেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সীমান্তের এলাকাবাসীদের নির্ধারণ করে নেয়া একটি সীমারেখা ধরে চলতে হবে।যদিও কিয়েভ মস্কোর এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার এবং রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এদিকে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক ‘রিসেট’ বা পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ। 

কিরিল বলেন, রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রিপাবলিকান শিবিরের অর্জিত বিজয়ের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, আমেরিকানরা বাইডেন প্রশাসনের নজিরবিহীন মিথ্যাচার, অদক্ষতা ও বাইডেন প্রশাসনের বিদ্বেষে ক্লান্ত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করা হয়। ফলে, ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহায়তা হারাতে পারে। 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ